First page Back Continue Last page Overview Image

জাল কোনো অদৃশ্য জাল নয় সত্যি সত্যি মসৃন আঠালো একধরণের জাল এবার তার গোটা শরীর জড়িয়ে ফেলেছে। অসহ্য জ্বালায়  সে যত  ছটফট করে  এগোতে লাগলো তত সে বাঁধা  পড়তে লাগলো বিষাক্ত সেই জালে। একসময় সে অনুভব করলো তার হাত পা শিথিল হয়ে এসেছে। নিঃশ্বাস প্রায় বন্ধ হয়ে এসেছে। অস্পষ্ট ভাবে দেখতে পেলো যে আঠালো মসৃন জাল তার সারা শরীর কয়েদির মতো বেঁধে দিয়েছে তার রং সোনালী। কিছুক্ষণ পর আবছা জোৎস্নার আলোয় সে দেখলো তার দিকে যুবতী এগিয়ে আসছে। তার হাতে একটা তরোয়াল আর কঠিন তার দৃষ্টি। রামচরণ অস্ফুট ভাবে বলে উঠলো "মা-মাকড়শা"। এই বলে খানিক্ষন চুপ থেকে, সেজদাদু একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়লেন। আমরা অধৈর্য ভাবে বললাম "এখানেই শেষ? প্লিজ বোলো বোলো তার পর কি হলো"। সেজদাদু বললো বলেছিলাম যে তারপর কি হলো জিগেস করবিনা ওটা অন্য একদিন বলবো। কিন্তু এই রামচরণের এর শেষ শব্দের তাৎপর্যটা তোদের কাছে খোলসা করে বলতে পারি এখনই। আমরা সবাই বলে উঠলাম "হ্যাঁ প্লিজ প্লিজ"। সেজদাদু বললো "আসলে সেই সময় বাংলায় বর্গী আক্রমণের জন্য সবারই  প্রায় ওষ্ঠাগত প্রাণ। ইংরেজরাও বাদ ছিলোনা। কলকাতাকে মারাঠাদের লুঠতরাজ থেকে বাঁচানোর জন্য তারা "মারাঠা বেষ্টনী" নামে একটা কংক্রীটের চ্যানেল

আছে। ওই যে দেখো বাগানের দক্ষিণ পূর্বদিকে ছোট ঝোপটা রয়েছে, তার পাশে একটা অশ্বত্থ গাছ।" রামচরণ দেখলো সেই ঝোপ আগে তার চোখে পড়েছে।  কোনো একটা অদ্ভুত কারণে চাঁদের আলো তার উপর পরে বিভিন্ন দিকে অপরূপ ভাবে বিচ্ছুরিত হচ্ছে। তারপর যুবতী বললো, ওই অশ্বত্থ গাছের পেছনে একটা ছোট্ট ফাটক আছে যেটা খুলতে পারলে জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে পালানো যাবে। কিন্তু ওই গাছে  সুজন মুহম্মদ এর একটা পোষা পেঁচা থাকে। খুব তীক্ষ্ণ তার দৃষ্টি। সে যদি একবার দেখে, তাহলে চেঁচিয়ে প্রহরীদের জাগিয়ে দেবে। আর সেক্ষেত্রে নির্ঘাত মৃত্যু। রামচরণ বললো "এ খুব সোজা ব্যাপার। আমি গাছটায় উঠে পেঁচাটার ঘাড়  মটকে দিই তাহলেই সব সমস্যার সমাধান"। যুবতী বললো "না না শুধু ওর মুখটা বন্ধ করলেই হবে"। এই শুনে একটু মৃদু হেসে রামচরণ বাগানের দক্ষিণ পূর্ব দিক বরাবর এগোতে লাগলো। কিছদুর এগোনোর পর সে অনুভব করলো,  কিছু তরল আঠালো পদার্থ যেন তার হাতে পায়ে লাগতে শুরু করেছে। সে একটু নড়াচড়া করলেই যেন সে আঠার মধ্যে আরো বেশি করে জড়িয়ে যাচ্ছে। এরপর হঠাৎই শুরু হলো এক অসহ্য যন্ত্রনা। কিন্তু তার ওই পেঁচাটা চাইই। মুখবুজে সে এগোতে লাগলো ঝোপ আর অশথ্ব গাছটার দিকে। কিন্তু একি সে যেন কোনো একটা জালে জড়িয়ে পড়ছে। আর এ

58