First page Back Continue Last page Overview Image

সেটা বেশ ইন্টারেষ্টিং এবং একজন ইতিহাসবিদের থেকে শোনা অরিজিনাল হিস্টরিকাল ফিক্শন। আমি তোদের পুরো গল্পটা এখন বলতে পারবোনা। কারণ সে এক বিশাল অজানা রোমহর্ষক ইতিহাস। তবে সেদিন রাতটা যেহেতু চুরি রিলেটেড রাত ছিল এবং প্রফেসর মুক্তাদীর গল্পের প্রসঙ্গটা এই চুরির জন্যই আসে  তাই পুরো গল্পে একটা চোর এবং তার পরিণতির ছোট একটা অংশ তোদের  শোনাবো। উনি গল্প শুরুর আগেই আমায় বললেন "গল্পে কিন্তু অপার্থিব জিনিস মানে ম্যাজিক বা সুপারন্যাচারাল পাওয়ার এর উল্লেখ থাকবে। সুতরাং আপনার এসবে বিশ্বাস না থাকলে বোধহয় না এগোনোটাই বেটার"। আমি ওনাকে উত্তরে আমার ম্যাজিক বা মন্ত্রতন্ত্রর প্রতি যে একটা বিশেষ আগ্রহ আছে তা উল্লেখ করতে ভুললাম না। আমার শেখা কয়েকটা ভেলকির বিবরণও দিলাম। প্রত্যুত্তরে  উনি বললেন "ব্রাভো। এতদিন এ একজন যোগ্য শ্রোতা পেয়েছি তাহলে"। উনি যে গল্পটা বলেছিলেন এবং তার মধ্যে যে অংশটা আমি তোদের শোনাতে চাইছি, তা সংক্ষেপে হলো এই - সালটা তখন ১৭৪৫ হবে। বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ। আর সেই সময় পুরোদমে রঘুজী ভোঁসলে আর সেনাপতি ভাস্কর পণ্ডিতের নেতৃত্বে বাংলায় বর্গীদের লুঠতরাজ চলছে। অনেকবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও আলীবর্দী খাঁ বর্গীদের দমন করতে পারেননি কারণ খাঁ এর সৈন্য দলে মীর হাবিবদের

সুঠাম চেহারা। বয়স প্রায় পঞ্চাশ কি বাহান্ন হবে। এসে হঠাৎ আমার দিকে হ্যান্ডশেক করার জন্য হাতটা বাড়িয়ে বললেন "আমার নাম মুক্তাদির আলী। থাকি এখন উক্রেনে। ওখানে একটা ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাস পড়াই। আমি মুর্শিদাবাদেরই ছেলে। এখানে পৈতৃক কিন্তু বসবাস যোগ্য নয় এমন  কিছু সম্পত্তি আছে। যেগুলো এর মধ্যে কিছু বিক্রি করতে মুর্শিদাবাদে এসেছি। এখনো যে চোর ডাকাত এর এতো উৎপাত রয়েছে এখানে, ভাবতেই অবাক লাগে।" তারপর একটু হেসে বললেন "চুরি করবি আর এতো সহজে ধরাও পড়বি, এ আবার কেমন চোররে বাবা, হা হা হা! তা মশাইয়ের পরিচয় তো জানা হলোনা"। আমি একটু অপ্রস্তুত হয়ে, বললাম "এ বাবা সরি"; বলে আমার পরিচয় দিলাম। তারপর ভদ্রলোক বললেন "চলুননা আমার রুমে একটু গল্প করা যাক তাহলে রাতটা কাটিয়ে দেওয়া যায় আর কি"। প্রস্তাবটা মন্দ না লাগলেও, এক অপরিচিত ব্যক্তির সাথে এভাবে যাওয়াটা ঠিক হবে কিনা ভাবছি এমন সময় উনি বললেন "আরে আমি চোর ডাকাত কেউ নই। এতো ভয় পাচ্ছেন কেন?" এবার সত্যি সত্যিই একটু লজ্জা পেয়ে গেলাম। সিগারেটটা শেষ করে ওনার সাথে ওনার রুমে গিয়ে কফি খেতে খেতে অনেক গল্প করলাম। সব যে তেমন মনে রাখার মতো তা না। তবে এখন যেটা তোদের বলতে চলেছি

51