First page Back Continue Last page Overview Image

মানে হয়না। আর  যেহেতু উপরে কোনো স্মোকিং জোন নেই, ভাবলাম রিসেপশনের পেছনদিকটায় যে খোলা জায়গাটা  আছে ওখানে গিয়ে একটা সিগারেট জ্বালাই। বাইরে বেরিয়ে দেখলাম চাঁদ প্রায় বৃত্তাকার আর তার অপরূপ জোৎস্না যেন গোটা বহরমপুর শহরটাকে নিঃস্বার্থভাবে আলোতে স্নান করিয়ে দিচ্ছে। মনে মনে ভাবলাম চোর ব্যাটা এই পূর্ণিমার আলোতে চুরি করতে বেরিয়েছে। তারপরে একটু  হাসলাম আর বললাম চোরের আবার পূর্ণিমা! এরপর পকেট থেকে লাইটারটা বের করে সিগারেট জ্বালাতে যাবো, এমন সময় পাশ থেকে কে যেন বলে উঠলো "কি ঘুম আসছেনা বুঝি?" আচমকা এই অযাচিত প্রশ্নে আমার সারা শরীরটা কেমন যেন ছ্যাঁৎ করে উঠলো। আর আমার হাত থেকে লাইটারটা  পড়ে  গেলো। আমার যে সাহস আছে সেটা নতুন করে তোদের আর বলে দিতে হবেনা নিশ্চয়ই। কিন্তু ওই গম্ভীর অথচ ধারালো কণ্ঠস্বর যেন মুহূর্তের মধ্যে আমার সব সাহসকে  ফালা ফালা করে দিলো। তারপর  সামনের দিকে  একটু ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম একজন একটা জ্বলন্ত সিগারেট এ সুখটান দিয়ে অনেক্ষন পর ধোঁয়া ছেড়ে বললো "কি মশাই ভয় পেয়ে গেলেন নাকি?" লাইটারটা কুড়িয়ে, আমি একটু কাঁপা কণ্ঠস্বর এ বললাম "না না ভয় পাবো কেন? তবে ওই আর কি হঠাৎ"। এর পর ভদ্রলোক সামনে এলেন। দেখলাম বেশ পরিপাটি

করে উপরের দিকে মুখ করে  তারপর একবার টিটোর দিকে চেয়ে বললো "আমারো যে আজ কাজে মন বসছে তা না "। তবে টিটোর বরযাত্রী যাওয়ার প্রসঙ্গটা যখন উঠলো একটা ছোট গল্পবলি শোন। টিটোর মতোই একজন বরযাত্রীর গল্প। তবে এখনকার না। অষ্টাদশ শতাব্দীর। তবে হ্যাঁ,  গল্পটা আমি ছোট করে বলছি।  গল্পটা শেষ  হওয়ার পর  আমাকে কিন্তু  জোর করতে পারবিনা "তারপর কি হলো" এসব বলে। গল্প শেষ আর তোমরাও নিজের বাড়ি ফিরে গিয়ে পড়াশুনা করতে বসবে। আমরা সবাই একসাথে বলে উঠলাম। "একদম"। এরপর দাদু রাজার দিকে ইশারা করে সোফার ডান  দিকের কোনে পরে থাকা ছোট বালিশ খানা  নিজের কাছে নিয়ে সেটাকে তার পিঠ আর  চেয়ার এর মাঝে ফাঁকা জায়গাটায় দিয়ে আরাম করে হেলান দিয়ে বললেন "আমি তখন  মুর্শিদাবাদে  গেছি একটা কাজে। বহরমপুর এ একটা হোটেলে একখানা ঘর আমার আগে থেকেই রিসার্ভ করা ছিল। আমার যাওয়ার দিন দুয়েকের মাথায় হোটেলে হঠাৎ মাঝরাতের দিকে চ্যাঁচামেচি শুরু হয়। তারপর রিসেপশন এ গিয়ে জিগেস করায়, ওরা  বলে হোটেল এর কোনো একটা রুমে  চোর ঢুকেছিলো। কিন্তু চোর ব্যাটা পালতে পারেনি। ধরা পড়েছে। এতো রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় ভাবলাম নতুন  করে ঘুমোনোর আর কোনো  

50