First page Back Continue Last page Overview Image

সত্যি আমরা কেউই  জানতাম না বা বিচার করার চেষ্টাও করতাম না। কারণ কিছু কিছু গল্প এমনও হতো, যার থেকে আমরা জীবন এ অনেক কিছু নতুন করে শুরু করার উদ্দম পেতাম। উনি আমাদের বন্ধুর  মতো। বলতে গেলে সব কিছু ব্যাপারেই খোলামেলা কথা বলেন বা বলতে ভালোবাসেন। আর মাঝে মাঝে এমন সব রসিকতা করেন যে সত্যিই আমরা লজ্জা পেয়ে যাই। তবে সেজদাদু যে রহস্যময় একজন ব্যক্তি, সেটা বলাই বাহুল্য। বলতে বলতে আমরা এসে গেলাম সেজদাদুর বাড়ির সামনে।  সেই উঁচু ঢিবিটার নিচে। দেখলাম সেজদাদুর ফাই ফরমাস খাটা  চাকর, হিংচে,  ঢিবিতে ওঠার জন্য যে ইঁটের ধাপ করা সিঁড়িটা  আছে তার সবথেকে  উপর এর ধাপে  একটা খুলে যাওয়া ইঁট লাগানোর চেষ্টা করছে।  আমাকে দেখতে পেয়ে হিংচে বললো "আরে দাদাবাবু যে। আসেন"। আমি বললাম "সেজদাদু আছে?" হিংচে তার খনা গলায় একটু হেসে বললো "হিঃ হিঃ হিঃ। থাকবেনা বুড়ো যাবে কোথায়? সকাল থেকে এক্কেরে জ্বালিয়ে মারলে গা। ওখানে ইঁট খুলে গেছে ঠিক কর, এখানে বিষটিতে  ফুল গাছের ডাল  ভেঙে গেছে দেখ। যত্ত  সব। তা দাদাবাবু আপনি যান না, যান ঊপরে"। এই বলে হিংচে উঠে দাঁড়িয়ে পাশে সরে গিয়ে একটু হাসি হাসি মুখে একেবারে মৃদুকণ্ঠে  বলতে লাগল "যান যান বাবুরা"। সিঁড়ি  দিয়ে উঠে আমরা  দশফুট মতো লম্বা সুড়কী  

কাউকে জিগেস করিনি। এখন উনি অবসর নিয়েছেন।কাজের জন্য  দেশ বিদেশ এ ঘুরে বেড়িয়েছেন। আর সেই সুত্রে অর্জন করা বিচিত্র সব অভিজ্ঞতাই  আমাদের শোনান। বাইরে হালকা একটু বৃষ্টি পড়ছিলো। তাই  সাথে  একটা করে ছাতা নিয়েছি।  শুধু সঞ্জু ছাতা নেয়নি, সে আমার ছাতার  ভেতরেই কোনোরকমে গুটিসুটি  মেরে   হাঁটার  চেষ্টা করছে। সেজ দাদুর বাড়িটা  আমাদের বাড়ি থেকে একটু দুরে। একা পড়াশোনা বা কাজ কর্ম করবেন  বলে একটু নিরিবিলি তে থাকেন। উত্তরপাড়া পোস্টঅফিসর পেছনে আধ মাইলখানেক হাটা পথ এর শেষে একটা উঁচু ঢিবি মতো আছে, ওখানে। ওটা আসলে একটা সরকারি বাড়ি। আগে এখানকার ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারেরা থাকতেন। কিন্তু কোনো একটা গোলমেলে কারণে, সম্ভবত, ভূত প্রেত জাতীয় কিছু একটা ব্যাপার এর জন্য ওখানে কেউ থাকতে চাননা। সেজদাদু যেহেতু উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক ছিলেন, তাই ওনার রিকোয়েস্ট হয়তো সরকার ফেলতে পারেননি। শুনেছি উনি প্রায় ফ্রি তেই থাকেন ওখানে। শুধুমাত্র বাড়ি পরিচর্যা করার জন্য যে কেয়ার টেকার আছে তাকে মাস গেলে কিছু বকশিস দিতে হয়। সেজদাদুর ওসব ভূতে ভয় টয় লাগেনা। একবার তো একটা ভূত কে হিপনোটাইস করার গল্প ও বলেছিলেন। গল্পগুলো কতটা  

46