First page Back Continue Last page Overview Image

বরযাত্রী যাবে। তাই আমরা মোটামুটি একটা অনুমান করলাম যে ব্যাটা নিশ্চই  কিছু সাজগোজ এর জিনিসপত্র কিনতে বেরিয়েছে। প্রসঙ্গত বলে রাখি টিটো কলেজের ফার্স্ট ইয়ার এর ছাত্র হলেও চেহারা খানা একেবারে ইয়ে মানে সুপুরুষ যাকে বলে আরকি। যাক গে, আমরা গার্গীদি, মানে টিটোর দিদি কে বলে এলাম, বোলো আমরা সেজদাদুর ঘরে যাচ্ছি।  সেজদাদুর ঘরে যে কেন যাচ্ছি বা যাই, তা নতুন করে আর কাউকে বলে দিতে হয়না। এবার আসি সেজদাদুর প্রসঙ্গে। আমার দাদুরা  পাঁচ ভাই। আমি বড়োদাদুর বড়ো ছেলের একমাত্র  পুত্র। বাকি সব দাদু ও তাদের পরিবার কেউ উত্তরপাড়া তে থাকেনা। মেজদাদু মারা গেছেন আর তার পরিবার থাকে সল্টলেকে এ। আর বাকি দুই দাদুরা  থাকেন  হলদিয়াতে।  আমার দাদুদের মধ্যে সেজদাদু সবথেকে বেশি পড়াশুনা জানা। সরকারি আফিসে খাদ্যদপ্তরে উচ্চপদস্থ  অফিসার ছিলেন  বলে শুনেছি। বিয়ে করেননি। তবে এক কাকার মুখে শুনেছি উনি নাকি প্রেমে ব্যার্থ। এই  কথাটা   আমার তরুণ  অনুসন্ধিৎসু হৃদয়ে বেশ কয়েকবার  উস্কানি জাগালেও কোনোদিন লজ্জায় বা ভয়ে

পরশুদিন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্টার্ট। প্রস্তুতি মোটামুটি ভালোই। আমার নাম বুবুন, বুবুন বাগচী। আমি আর্টস এর ছাত্র, উত্তরপাড়া গভর্ণমেট হাই স্স্কুলে পড়াশুনা করি।  সকাল থেকেই আজ কেমন একটা পড়াশুনাতে মন বসছেনা। তাই ভাবলাম সেজ দাদুর ঘরে একবার ঢুঁ  মেরে আসি। মুখরোচক কিছু গল্প শুনলে মনটা হয়তো হালকা হবে।  এসে আবার পড়তে বসা যাবেখন।  তবে একা যেতে একটু ভয় লাগে। বুড়ো যা খিটখিটে।  এখুনি বলবে ''সামনে পরীক্ষা, যা হতভাগা পড়াশুনা কর গে"। তাই ভাবলাম পাড়ার সঞ্জু, টিটো আর রাজাকে ডেকে নিই। ওরাও আমার ই বন্ধু, এক ক্লাসে পড়ি।  শুধু টিটো কলেজে ফার্স্ট  ইয়ার। যদিও এটা  আমাদের গল্প শোনার বয়স ঠিক না, তবে সেজ দাদুর গল্প, আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাই যে উপভোগ করে সে বিষয়ে  কোনো সন্দেহ নেই। দুপুরের খাবার খেয়ে বেরোলাম সাঞ্জুদের খোঁজে। সবাইকে পেলেও টিটোর দিদি আমাদের বললো, টিটো বাজারে গেছে কিছু একটা কিনতে, কারণ আজ রাতে টিটোর মাসির ছেলের বিয়ে আর  টিটো

বরযাত্রী ও সোনার মাকড়শা

  (বুবুনের ডাইরি থেকে নেওয়া একটি কাল্পনিক ঐতিহাসিক ছোটগল্প)

কিল্বিশ 

45