কিন্তু অবাক হওয়ার আরো বাকি ছিল তাদের, এরপরেও বাঘটি উঠে আসে নৌকায়, ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে থাকে ওদের দিকে। রানা আরেকটি রিভলবার বার করে পকেট থেকে, কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। বাঘটা নিমেষের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার ওপর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রানার ধড় থেকে মাথাটা আলাদা করে দিয়ে আবার তড়িৎ গতিতে লাফ মেরে জঙ্গলে অদৃশ্য হয়ে যায় বাঘটা।
শ্রেয়া আর অরিন্দম দুজনেই এখন থানায় বসে আছে। একটা জেলেদের নৌকা ওদের দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেছে। পুলিশের স্পীডবোট ও কাছেই ছিল। ওরাই ওদের এখানে এনেছে। রানার মৃতদেহটা পাওয়া গেছে। কিন্তু, কেউ কোনো বাঘ দেখতে পায়নি।
আরো কদিন পরের ঘটনা। তদন্তে জানা গেছে, রানা তার ওই সফ্ট টয় এর বিজনেসের আড়ালে বাঘের চামড়া পাচার করতো বিদেশে। এখন কারখানাটা সিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে না, ওই অদ্ভুত খুনের ঘটনায় কেউ ধরা পড়েনি। এমনকি, রানা মারা যায় যেখানে, তার ধারে কাছের জঙ্গলে কোথাও বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া যায়নি, যদিও ফরেন্সিক রিপোর্ট বলছে, রানার মৃত্যুটা বাঘের থাবাতেই হয়েছিল।
অরুণিমা ভট্টাচার্য
42