ওদিক দেখতে দেখতে জঙ্গলের দিকটায় দূরবীন ঘোরাতে ও দেখতে পেলো কি যেন নড়াচড়া করছে। আরো ভালো করে দেখার চেষ্টা করেও বিশেষ কিছু বুঝতে পারলো না সে। একবার ভাবলো বাইরে বেরিয়ে গিয়ে দেখবে। কিন্তু শ্রেয়ার কথা ভেবে নিজেকে নিরস্ত করলো সে।
পরেরদিন খবরটা এলো। আবার একটা মানুষ খুন হয়েছে। এবারেও আগের প্রত্যেক বারের মতই লোকটা এই অঞ্চলের কেউ নয়, বহিরাগত। এবারেও জানা যাচ্ছেনা লোকটা কি উদ্দেশ্যে এসেছিল। তার ক্ষত দেখে বোঝা যায় বাঘ বা ওই জাতীয় কোন হিংস্র পশুর আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু এবারেও ধারেকাছে কোনো বাঘের পায়ের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই কেসটা ভাবিয়ে তুলেছে অরিন্দমকে। এই জন্যই তার এখানে আসা। আর তার আসার পর এই প্রথম কোনো খুন হলো এখানে, এইভাবে। আর এখনই সে ছুটিতে আছে। এখনই তার একবার স্পটে যাওয়া প্রয়োজন। ছুটিও বাতিল করতে হবে। শ্রেয়া বুঝবে নিশ্চয়ই।
সবকিছু সামলে স্পটে যেতে যেতে বেশ খানিকটা বেলা হয়ে গেল। লাশটাকে ভালো করে দেখলো একবার অরিন্দম। দেখে তো বাঘের হাতেই মৃত্যু মনে হচ্ছে। তাও সেটাকে ফরেন্সিক
তদন্তের জন্য পাঠাতে বললো সে। মনটা উৎসাহী হয়ে উঠেছে। তার এই কয়েক বছরের চাকরি জীবনে একবারও ব্যর্থ হতে হয়নি তাকে। এই কেসটা এতো অদ্ভুত আর জটিল বলেই এবারে তাকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে তাকে। সফল তো তাকে হতেই হবে। হঠাৎ মনে হলো দুটো চোখ , দুটো হিংস্র সবজেটে চোখ তীব্র ভাবে তাকিয়ে আছে তার দিকে, তার পিছন দিক থেকে। চকিতে পিছন ঘুরল সে। না, সে যা ভেবেছিল সেরকম কিছুই না। মনের ভুল।
কোয়ার্টারে ফিরতেই শ্রেয়া তাকে কয়েকটা সফ্ট টয় দিলো। রানা এসেছিল। উপহার স্বরূপ দিয়ে গেছে। এসবেরও বিজনেস করে সে। খেলনা গুলো অন্যমনস্ক ভাবে নাড়াচাড়া করছিল অরিন্দম। একটা টেডি বিয়ার, একটা খেলনা কুকুর আর একটা খেলনা বাঘ। হঠাৎ কি মনে হলো অরিন্দমের। বাঘটা কি তার দিকে তাকিয়ে আছে? নানা, কি সব ভাবছে সে।
রিপোর্ট বলছে বাঘ বা এই ধরনের কোনো হিংস্র পশুর আক্রমণেই মৃত্যু ঘটেছে লোকটার। এই দুদিনে অনেক পরিশ্রম করেছে অরিন্দম। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। শুধু এটুকু জানতে পেরেছে, লোকটা একটা পোচার ছিল। তার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে গত কয়েক দিনে এইভাবে মৃত্যু
39