First page Back Continue Last page Overview Image

একদম রক্তহীন।

থানায় নতুন ও. সি. দায়িত্ব নেওয়ার পর এলাকার সাধারণ মানুষ, প্রভাবশালী ব্যক্তি, অনেকেই দেখা করতে আসে তার সাথে। সেভাবেই পরিচয় হয়েছিলো রানার সাথে। মিস্টার রানা বোস। বিখ্যাত একটি হোটেল চেনের অন্যতম মালিকের ছেলে সে। কিছু সাইড বিজনেসও আছে। ওদের সুন্দরবন এলাকায় একটা বাংলো আছে। সেখানে আসে মাঝেমাঝে। সেই সূত্রেই আসা এবারেও। অরিন্দম বলেছিল একদিন সে তাকে এবং এখানে আলাপ হওয়া আরো কয়েকজনকে ডাকবে তার কোয়ার্টারে, আলাপ করাবে বিশেষ একজনের সাথে। কথায় কথায় রানাকে বলেছিল শ্রেয়ার ব্যাপারে। আর তখনই জানতে পারে তাদের ছোটবেলার বন্ধুত্বের কথা, দুই পরিবারের মেলামেশার কথা।

আজ লাঞ্চে খাওয়াদাওয়ার পর অরিন্দম আর শ্রেয়সীর মধ্যে তেমন কথা হলনা। গেস্টরা সবাই চলে যাওয়ার পর মাথা ধরেছে বলে ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েছে শ্রেয়সী। আর অরিন্দম গেছে থানায়। কাল থেকে দুদিনের ছুটি নিয়েছে সে, তার আগে একবার থানায় গিয়ে মেজবাবুকে সব বুঝিয়ে আসা দরকার।

যেজন্য তার এখানে আসা, তা শুরু করা দরকার।

আজ থানা থেকে ফেরার পথে একটু বেশিই সন্ধে হয়ে এলো। গ্রামের পথ, যথেষ্ট আলোও নেই। যদিও অরিন্দমের সাথে সবসময়েই ছয় ব্যাটারির টর্চটা থাকে, তাও। দূরবীন আর লোডেড সার্ভিস রিভলভার তো আছেই। ঘরে শ্রেয়া আছে একা। আজ আবার তার ড্রাইভার ছুটি নিয়েছে। সাতপাঁচ ভেবে একটু জোরেই পা চালালো সে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর একটা অস্বস্তি হলো তার। কেউ কি তার পিছু নিয়েছে? বেশ কয়েকবার পিছনে যেন কার পায়ের আওয়াজ শুনতে পেলো। কিন্তু পিছনে কাউকে দেখতে পেলো না। মনের ভুল ভেবে আবার হাঁটা লাগালো অরিন্দম।

কোয়ার্টারে ফেরার পর আজ অনেক গল্প হলো শ্রেয়ার সাথে। রানার কথাও হলো। শুধু তার সাথেই যে বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ আসছে, সেকথা চেপে গেল শ্রেয়া।

এখন অনেক রাত। শ্রেয়া সারাদিনের ক্লান্তির পর ঘুমিয়ে পড়েছে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে রোজকার মতো দূরবীনটা হাতে নিয়ে সামনের ব্যালকনিতে এসে বসলো অরিন্দম। এদিক

38