First page Back Continue Last page Overview Image

দিয়ে আসবো।" ফোনে বলেছিল শ্রেয়া। অরি, ওরফে অরিন্দমের কোনো ওজর আপত্তিই টেকেনি। সেইমত ব্যবস্থা করেও রেখেছিল অরিন্দম। আসুক। দেখেই যাক নিজের চোখে সব কিছু। এমন তো কোনো কথা নেই যে কলকাতাতেই পোস্টিং পাওয়া যাবে সব সময়। ফাইনাল কোনো ডিসিশন নেওয়ার আগে সব কিছু জেনে বুঝে নেওয়াই ভালো। আজ ভর দুপুরে গোসাবা থানার বড়বাবুকে তাই দেখা গেলো মাতলা নদীর ধারে, তাও দূরবীন হাতে।

গ্রামবাসীদের মতো শ্রেয়াও কম অবাক হয়নি অরির হাতে এই বস্তুটি দেখে। "এটার কথা কই আমায় বলনি তো তুমি আগে। একটু চোখের আড়াল হতে না হতেই এত চেঞ্জ!" দুষ্টুমি ভরা চোখে অরিন্দমের দিকে তাকায় শ্রেয়সী। "তোমায় সারপ্রাইজ দেবো বলেই তো বলিনি সোনা। আগে চলো কোয়ার্টারে, দেখবে আরো কত সারপ্রাইজ ওয়েট করে আছে তোমার জন্য।" হেসে বলে অরিন্দম। কিন্তু কোয়ার্টারে যাওয়ার পর যে সারপ্রাইজ পেলো শ্রেয়া, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি সে।

আজ পুলিশ কোয়ার্টারে এলাহি আয়োজন। টেবিল সাজানোই আছে। চিকেন, মটন, চিংড়ি, ইলিশ কি নেই সেখানে। "বাঃ, এ

তো দেখি দারুণ সারপ্রাইজ অরি। আমি কিন্তু এতটাও ভাবতে পারিনি।" দারুণ খুশি হয়ে বলে ওঠে শ্রেয়া। "দাঁড়াও দাঁড়াও। আরো বাকি আছে। আমার কিছু গেস্ট ও আছেন। আজ আলাপ করাবো তোমার সাথে। তাদের মধ্যে একজনকে দেখলে তুমি সত্যিই খুব খুশি হবে শ্রেয়া।"

একটু পরে ফ্রেশ হয়ে শ্রেয়া যখন ডাইনিং এ আসে ততক্ষণে সবাই চলে এসেছে সেখানে। অরিন্দম সবার সাথে আলাপ করিয়ে দেয় শ্রেয়ার। "এইবারই তো আসল সারপ্রাইজ। আসুন মিস্টার রানা।" বলে অরিন্দম। "আপনার ছোটবেলার বন্ধু শ্রেয়সী। কি ভাবতে পেরেছিলেন এভাবে দেখা হবে? সত্যি বলতে কি শ্রেয়া, আমিও কম সারপ্রাইজড হইনি। জানোতো, একদিন কথায় কথায় বলেছিলাম তোমার নাম। তা দেখলাম তোমাকে উনি চিনতে পারলেন। আর শুধু তাই ই নয়, তোমরা সেই ছোটোবেলা থেকেই নাকি দারুণ বন্ধু। দেখ এটা কিন্তু তুমি আমায় বলনি। আজ কতবছর পর বলো আবার তোমাদের দেখা হয়ে গেলো। আমারই জন্য হলো তো। এর জন্য কিন্তু এক্সট্রা থ্যাঙ্কস পাওনা আমার। তোমাদের দুজনের থেকেই। কি বলেন মিস্টার রানা?" অরিন্দম এত কথা বলতে গিয়ে খেয়াল করেনা যে তার শ্রেয়ার মুখ একদম ফ্যাকাসে হয়ে গেছে, যেন

37