First page Back Continue Last page Overview Image

"মিস্টার চৌধুরী, তাহলে ঐ কথাই রইলো, কাল থেকে আপনি দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছেন তাহলে।" সৌজন্যমূলক হাত বাড়ালেন বিদায়ী ও. সি. মিস্টার ঘোষ। "অবশ্যই মিস্টার ঘোষ, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। আর আপনি তো জানেনই, ক্রিমিনালদের মধ্যে আমার কেমন সুনাম।" মিস্টার চৌধুরীর বাড়ানো হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে উত্তর দিলেন গোসাবা থানার নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ও. সি. মিস্টার অরিন্দম চৌধুরী।

অরিন্দম চৌধুরী। বয়স সাতাশ বছর। লম্বা সুদর্শন যুবক। সফল অফিসার। তার দাপটে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়। দুঁদে পুলিশ অফিসার বলতে যা বোঝায়, একেবারে তাই। এহেন অফিসারের অনেক শত্রু থাকবে তা যেমন স্বাভাবিক, তেমনি এমন সফল সুদর্শন যুবকের প্রেমাকাঙ্খিনির সংখ্যাও যে খুব একটা কম হবেনা, তা বলাই বাহুল্য। তাই প্রথম যখন ও শ্রেয়াকে বাড়িতে নিয়ে আসে, অবাক হয়নি কেউই। শ্রেয়সী ব্যানার্জী। ওরফে শ্রেয়া। ইংলিশে অনার্স। স্মার্ট সুন্দরী

আধুনিকা। কলকাতার বিখ্যাত বস্ত্র ব্যবসায়ী বাবার একমাত্র কন্যা। বন্ধুদের সাথে কলেজ স্কোয়ারে আড্ডা মারার সময়ে সে কিছু দুষ্কৃতীদের পাল্লায় পড়ে, আর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে অরিন্দম। শ্রেয়া পরে জানতে পারে অরিন্দমের পরিচয়। আস্তে আস্তে পরিচিতি পরিণত হয় বন্ধুত্বে, তারপর প্রেমে। ওদের দুজনের বাড়িতেই সবাই জানতো একথা। অরিন্দমের বাড়ি থেকে সবাই সাদরে গ্রহণ করেছিল শ্রেয়াকে, কিন্তু শ্রেয়ার বাবার আপত্তি ছিল এই মেলামেশায়। তিনি চেয়েছিলেন তার ছোটবেলার বন্ধু, অধুনা এক হোটেল চেনের অন্যতম মালিকের ছেলের সাথে শ্রেয়ার বিবাহ হোক। অরিন্দমের ক্যারিয়ার যতই ব্রাইট হোক না কেন, সে মধ্যবিত্ত, তার পক্ষে শ্রেয়াকে ভালো রাখা খুবই কঠিন। কিন্তু একথা তার স্বাধীনচেতা জেদী মেয়ে বুঝলে তো!

"অরি, তুমি কিন্তু সব ব্যবস্থা করে রেখো। আমি আজই যেতে চাই তোমার ওখানে। তোমার কোয়ার্টারটা নিজের হাতে গুছিয়ে

একটি অসমাপ্ত কেস

স্বাগতা ঘোষ

36