ওকে যেতে দাও, হিমালয়, আর পিছু ডেকো না।
ওকে আজ ডাক দিয়েছে ফেলে আসা বস্তুজীবন,
যাকে একদিন তীব্র তিরস্কার জানিয়ে বেছে নিয়েছিল আদিম বন্য জীবন।
ভালোবাসার যে বারুদ সিন্দুকে ভরে লুকিয়ে এনেছিল এই নির্জনে,
তারই প্রসূত দাবানলে ভস্ম হয়ে গেছে গুটিপোকার ঘর।
যে বিশ্বাসকে পাথেয় করে একদিন যাত্রা করেছিল নিশ্চিত অনিশ্চয়তার উদ্দেশে,
আজ সে বিশ্বাসের অরক্ষিত দুর্গ নদীবক্ষে ভেসে গেছে।
দূর হতে যার হাতছানি ছিল উর্বশীর মতো দুর্নিবার,
স্পর্শ করতেই বুদবুদের মতো নিজ অস্তিত্ব অস্বীকার করে নিয়েছে।
শৃঙ্খলার কারাগার থেকে পালিয়ে যে আশ্রয় নিয়েছিল পাখিদের কলোনিতে,
আজ সে মানুষের ভিড়ে মুখ লুকোতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
ধর্মরাজের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জ্যোৎস্না রাতে গৃহত্যাগী হয়েছিল একদিন,
ওর বুকের খরস্রোতা আজ শান্ত হতে চায় মোহনার বুকে মাথা রেখে।
বিরাগ যে অনুরাগের চেয়েও দুর্জেয়, কত সাহসী সৈনিক ফিরে গেছে,
হয়তো শ্রেষ্ঠতমের চেয়েও শ্রেষ্ঠ কোন জীবন পাবে, এমনই প্রত্যাশা ছিল তার।
নিজের নিঃশ্বাসের শব্দ যখন একমাত্র শ্রাব্য ধ্বনি হয়ে ওঠে,
মানুষ তখন বড় ভীত হয়ে যায়, তার একাকীত্বও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে।
ওকে যেতে দাও
ঝুমা ঘোষ
35