First page Back Continue Last page Overview Image

" আজকাল বছরে ৪ বার করে ইন্টারেস্ট দিচ্ছে, বুঝলেন

কিনা। "

মলয়বাবু থমকে গেলেন। প্রাত্যহিক ভোরে নিয়ম করে হাঁটতে বেরোচ্ছেন আজ ২০ বছর হতে চললো। একই পথে দৈনন্দিন যাতায়াতের সুবাদে অনেকের সাথেই এযাবৎ পরিচয় হয়েছে। কিন্তু এ টি এম থেকে বেরিয়ে এসেই যিনি মলয়বাবুর উদ্দেশ্যে পূর্বোক্ত কথাটি ছুঁড়ে দিলেন, সেই লোকটিকে আগে কখনো দেখেছেন বলে মনে পড়লো না। এমনিতে মলয়বাবু এ টি এম বস্তুটিকে খুব একটা বিশ্বাস বা পছন্দ কোনোটাই করেন না। সাধারণত স্ত্রী কিংবা ছেলে কেই বলেন টাকা তুলে আনতে। আজ হঠাৎই একটু ইমার্জেন্সি এসে পড়ায় ভেবেছিলেন নিজেই সকালে হাঁটতে বেরিয়ে তুলে নেবেন। তার মধ্যে এই।

- "হ্যাঁ, এখন তো কোয়ার্টারলি করে দিয়েছে।"

এইটুকু বলে টুকটুক করে মলয়বাবু এ টি এম এর দিকে

এগোলেন। মলয়বাবু মিশুকে নন। তবে তিনি দুর্ব্যবহার করেন,

এই অপবাদও শোনা যায় না। তাই টাকা তোলার ক্লান্তিকর কাজটার পর বাইরে এসে যখন তিনি দেখলেন লোকটি তখনও তার দিকেই চেয়ে দাঁড়িয়ে, তখন বিরক্তির চেয়ে বিস্ময় তার বেশি হলো। এবার তিনি একটু ভালোভাবে দেখলেন তার দোসরকে। বয়স প্রায় তার মতোই কি তার চেয়ে একটু বেশিই হবে। কৃশকায় শরীরে একটা ঘি রঙের হাফশার্ট আর পাজামা। লোকটি তার অপেক্ষাতেই দাঁড়িয়ে ছিল। বেরোতেই বললে,

- "তা মশাই, আপনি কি রিটায়ার্ড ?"

- "হ্যাঁ, আপনি? "

- "আমিও, আমি ছিলাম আপনার, ডিপার্টমেন্ট অফ অডিটে, এখন যাকে সবাই এ. জি. বেঙ্গল বলে চেনে, সেন্ট্রাল এর চাকরি। আপনি কী? সেন্ট্রাল না স্টেট্ ? "

- "স্টেট্। আমি ছিলাম 'রবীন্দ্র বিদ্যামন্দির' স্কুল এর হেডমাস্টার।"

- "তাই নাকি? বাহ্। তাহলে পেনশন ই এখন আমাদের মতো

পিতৃসত্য

অরিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়

32