মহাশূন্য
তীর্থঙ্কর ব্যানার্জী
শূন্য কি?
আঁধার কি?
আলোর নবাবদারি থেকে মুক্ত হয়ে
মহাশূন্য পানে চাইলে
হঠাৎই সব তারা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
একটা একটা করে
মাঝারি থেকে ক্ষীণতম অগ্নিও
নিজের অস্তিত্ব জানাতে চায়,
অপেক্ষারত তারা, সেই দৃষ্টির আশায় -
যে দৃষ্টি মহাশূন্যকে শূন্য দেখে না;
আলোর দাপটে যখন বাস্তব অন্ধ হয়ে ওঠে,
সে দৃষ্টি অন্ধকারেই আলো খুঁজে পায়।
বহুকাল ধরে তাই সেসব তারা-রা জ্বলতে থাকে
একদিন, ঠিক একদিন
সেই সৃষ্টির সাথে মিলনের দুঃসাহসী কামনায়।।
আক্ষেপ
অলোক কুমার দাস
জানিনা ভালোবাসা তোমায় দিতে পেরেছি কতখানি,
শুধু একলা বিহনে , পথ চাওয়ার রাতি তোমার করে গেছি।
শ্রাবণের বর্ষণ তুমি মেঘলা চোখে একলা দেখেছ বসে।
হলদে চিঠি আর শুকনো গোলাপে শুধু অতীতের ঝলকানি।
অস্তাচলে ঢুলে রবি, তবু তুমি একলা হেঁটেছ বিকেলে ,
ভোরের শিশির ভেজা ঘাঁসেও তোমার একার পদধ্বনি।
আমি পারিনি তোমার পায়ে পা মেলাতে , নীরবে তাই আমার স্মৃতি করেছো সাথী।
নিশ্চুপ সন্ধ্যায় ঘরের কোণে, ছিন্ন মনবীণা আজ ,
তবু তোমার অন্তরের সুরে , আমার স্পর্শের ভাষাও আমি দিতে পারিনি।
31