First page Back Continue Last page Overview Image

বুড়ো দের ভরসা, কি বলেন?"

মলয়বাবু কিছু বললেন না। স্মিত হেসে সামনের দিকে পা বাড়ালেন। লোকটিও তার সঙ্গে সঙ্গে আসতে শুরু করলো। এবার মলয়বাবু একটু বিরক্ত হলেন, আবার পকেটে একগাদা টাকাও আছে। এসব ভাবনার মাঝেই হঠাৎ লোকটি মলয়বাবুর একদম গা ঘেঁষে এসে বললো,

- "বুঝলেন, আমার না আজ খুব আনন্দ হচ্ছে। "

মলয়বাবুর কিঞ্চিৎ বিরক্ত, কিঞ্চিৎ অবাক মুখের দিকে তাকিয়ে লোকটি পুনরায় বললে,

- "আসলে আমি যখন এই সেন্ট্রালের চাকরিটা পাই, তার আগেই আমি মুফতলালে ২০০০ টাকা মাইনের একটা চাকরি করতাম। ওখানকার ডিজাইনার ছিলাম। তখন ৬০০ টাকা মাইনের এই চাকরির অফার আসে। আমি পাত্তা দিইনি। কিন্তু বাবা প্রচন্ড পীড়াপীড়ি শুরু করলেন। বললেন, সেন্ট্রালের চাকরি, যত কম টাকা মাইনেই হোক, যেন কোনোভাবেই না ছাড়ি। সেই নিয়ে বাবার সাথে প্রচন্ড ঝামেলা। বাবার শরীর আর মায়ের কান্নাকাটির চাপে শেষমেষ বাধ্য হয়ে ৪ গুন্

মাইনের চাকরি ছেড়ে এই চাকরিটা নিয়েছিলাম। কিন্তু বাবার সাথে তারপর দু বছর কথা বলিনি, জানেন? আজ যখন ইন্টারেস্ট টা হাতে পেলাম না, তখন মনে হলো, বাবার কথা না শুনলে আজ কোথায় থাকতাম ? মনে হলো বাবা ওপর থেকে হাসছেন।

দেখুন, বলতে বলতেও আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। দেখুন, দেখুন। "

বলতে বলতে হঠাৎ রোগা একটা হাত এগিয়ে দিলে। মলয়বাবু অবাক চোখে দেখলেন সত্যিই ভদ্রলোকের হাতের রোম খাড়া হয়ে উঠেছে, আর চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে।

* * * * * * * * * * * * * * * * * *

সেদিন দুপুরে খেতে বসে মলয়বাবু ভাবছিলেন তার বড় ছেলের কথা। কদিন হলো মাস্টার্স করতে আই আই টি কানপুরে গেছে। ছেলের ইচ্ছে ছিলোনা কানপুর যাবার। বোম্বের বদলে কানপুরে তিনিই জোর করে পাঠিয়েছেন। তারপর থেকে ছেলে গুম হয়ে থেকেছে, আর বেশি কথা বলেনি তার সাথে। ফোনে

33