First page Back Continue Last page Overview Image

অনেকবেশি। আজ বুঝলাম, আসলে সময়টা নয়, event টাই জায়গা করে নেয়, drawing room-এ, flower vase -এ, ওদিকে গাছের তলায় জানান দেয় শরৎ  আর গাছের মাথায়, বসন্ত।

ট্রেন এর speed এত বেড়ে গেছে যে চোখ আর মন এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে এক প্রকার থমকে রয়েছি,

প্রত্যেক গাছে, প্রত্যেক সবুজে মুহূর্ত জমাট বাঁধা। কাকে ছেড়ে কাকে ভাবব, মাঠের নিচে ঢালু জমি জুড়ে বিনুনি পাকানো এই গাছটাই কাটার এক উৎসব  চলত প্রতি মাসে। পিছনের বাগান দিয়ে হাঁটা  যেতোনা।  

নাম জানিনি কেন এদের?  

কেন মনে হয়নি এমন এক সময় আসবে, যখন এদের চোখ ভরে দেখার জন্য ট্রেন থামাতে ইচ্ছে করবে?

কেন মনে  হয়নি এরা নিছক গাছ পরিচয় থেকে বেরিয়ে এক একটা আস্ত 'পুরুলিয়া' হয়ে উঠবে?

ধীরে ধীরে অন্ধকার হয়ে আসছে , আরো একবার শেষ বারের মত দেখার সময় আসছে।তবু মন কি থামে? পড়ন্ত বিকেলের আলোয় ওই হাসনুহানা গাছটাতেও তো স্মৃতি বাঁধা। গন্ধ বা ফুলের নয় , শুধু স্পর্শের। cycle টাকে ঠিক গাছের নীচ দিয়ে আনার সময় seat থেকে দাঁড়িয়ে একবার মাথাটা ছোঁয়ানো , প্রথমদিন হঠাৎ  করেই, তারপরের দিন ইচ্ছে করে আবার,

তারপর থেকে অভ্যেস।

এই অভ্যেস গুলোয় অভ্যস্ত হওয়ায়  কোনো বাঁধাধরা নিয়ম ছিলনা,

এখন অভ্যস্ত হতে হবে যে কাজ গুলোয়, তাদের অভ্যাস করে নিতে হয়।

সূর্যটা ডুবতে ডুবতেও ডুবছেনা, জানি যখন আবার আলো  ফুটবে, প্রথমে কোনো গাছ চোখেই পড়বেনা, তারপর অবশ্য পড়বে, রাস্তার ধারে ধারে  লাগানো বনমহোৎসব , আর সৌন্দর্যায়ন এর syllabus এ tick মারা কিছু জোর করে লাগিয়ে ফেলা  মুখস্থ  গাছ ।

মহানগরে পা  ফেলবো ... 

কেন যে আজ ও ছোটনাগপুর মালভূমির রং, রস, গন্ধ, মাটি আকাশ এতটা ছাপ ফেলে জানিনা, কিসের আবেশে দুর্গ, ভিলাই, রায়পুর, বিলাসপুর, চাঁপা, ঝারসুগুদা, রায়গড় এর এতটা দুরত্ব মুহুর্তে কেটে গেল, জানিনা।

জানি, এরা সব মালভূমিরই চেনা চিহ্ন , সব লালমাটিরই চেনা গন্ধ, সব  রুঢ়তার  একই রূপ, সব না-পাওয়াদের বহি:প্রকাশ ওই ফুল ফোটানো  কাঁটা গাছেই হয়, সব মালভূমিতেই পুরুলিয়া মাখা থাকে।

29