First page Back Continue Last page Overview Image

করে দাঁড়িয়ে আছে মাথা নিচু করে। ওই বাবামা’রা আবার অন্যান্য বাবা মা-দের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বোধ করেন, সেইজন্য ছাত্ররা ছাত্রদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বোধ করতে বাধ্য।

ডিকনফাইন্ড : এবং ইদানিং সেটা আরো বেড়েছে, মানে আমি দেখেছি আমি যখন টিউশন পড়াই, এই যে বাচ্চাদের ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে, অন্তত আমাদের ওপর এই চাপটা ছিলনা, মানে আমার ছাত্রীর জন্য যত না দুঃখ হয়, তার বাবা মা’র কথা ভেবে আরো বেশি চিন্তা হয়।

ডিকনফাইন্ড : আরেকটা কবিতার কথা বলবো, খুবই ভালো লাগে, সেটা হচ্ছে "প্রাক্তন"... সেই কবিতাটার background ও যদি বলেন ?

কবি : আমি যাকে বিবাহ করেছি, তার পূর্বে তিনি বিবাহিতা ছিলেন, তিনি তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছিন্না, বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে তারপর আমার সাথে তার বিবাহ হয়, এবার তার প্রায়ই মনে পড়তো তার আগের স্বামীর কথা , তিনি কিভাবে অফিস যাচ্ছেন, কিভাবে খাওয়াদাওয়া করছেন , তাকে কে দেখাশোনা করছে, এসব কথা তার প্রায়ই মনে হতো এবং সেগুলো তিনি আমাকে বলতেন। তার থেকেই কবিতাটা।

ডিকনফাইন্ড : আপনার একটা ইন্টারভিউতে আপনি বলেছিলেন যে কবিদের ক্ষেত্রে একটা দশক দশক ভাগ থাকে। কবিদের চিহ্নিত করা যায় অমুক দশকের কবি এই ভাবে। সাহিত্যের অন্য শাখায় সাধারণত এটা দেখা যায় না।

কবি : তার একটা কারণ হচ্ছে, কবিদের সংখ্যা সব সময় বেশি হয়। তাদের চিহ্নিত করার জন্য এই ভাগ টা করা হয়। আমায় যেমন সত্তর দশকের কবি বলা হয়। আমার লেখা প্রথম ছাপা হয় তিয়াত্তর সালে। প্রথম বই প্রকাশিত হয় সাতাত্তর সালে আর দ্বিতীয় বই আটাত্তর সালে । গদ্যকারদের এরকম দশক নেই। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বা শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় কে কেউ কি বলবে পঞ্চাশ দশকের লেখক। সুতরাং, এতে চিনতে সুবিধে হয় যে ইনি কোন সময় থেকে লিখছেন। তাছাড়া গবেষণার ক্ষেত্রে বা প্রবন্ধ লেখার কাজেও লাগে।

ডিকনফাইন্ড: এছাড়া সময়ের সাথে ভাষার বিবর্তনও তো চলে এসেছে।

কবি: কখনো একই কবিরও ভাষায় বিবর্তন হয়েছে। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম বই হলো, 'হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ'। জীবিতাবস্থায় শেষ বই হচ্ছে, 'জঙ্গল বিষাদে আছে'। তারপরেও

17