ডিকনফাইন্ড : সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলিকে ইদানিং লেখা প্রচারের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে,
বাংলা কবিতার আঙ্গিকের উপর এর কিরকম প্রভাব পড়ছে বলে আপনার মনে হয় ?
কবি : আমার যে ফোনটা আছে, সেই ফোনে ফেসবুক বা ইন্টারনেট করা যায়না , একটু পুরোনো আঙ্গিক এর ফোন। ফলে এই জগৎটা সম্পর্কে আমার তেমন কোনো ধারণা নেই। তবে একটা সুবিধে হয়েছে, আমি আজকাল শুনি, তরুণ তরুণীরা কবিতা লেখার পর সেই কবিতা কোথাও ছাপতে পাঠানোর বদলে ফেসবুকে শেয়ার করতে পারে এবং তারা অনেক পাঠক পায়, এটা তো আমি বলবো একটা বড় সুযোগ। আমাদের যখন তারুণ্য ছিল, তখন এমন কোনো সুযোগ ছিলনা। আমি নিজে ডাক -এ মানে পোস্ট -এ কবিতা পাঠাতাম বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। দশটা জায়গায় কবিতা পাঠালাম, তার মধ্যে হয়তো চারটে জায়গায় ছাপা হল। সেই যে চারটে জায়গায় ছাপা হলো, তা আমি জানতে পারলাম আরো ছ'মাস পরে … এই ছ'মাসে কিন্তু আমি অনেক নতুন লেখা লিখেছি, পাঠকদের ফিডব্যাক আমার কাছে এসে পৌঁছতো অনেক দেরিতে, ফলে আমাদের সময়ে কবিতা লেখার ক্ষেত্রে পাঠকদের ফিডব্যাক এর জন্য অপেক্ষা করতে কখনো হয়নি।
ডিকনফাইন্ড : আজকাল দেখা যাচ্ছে যে অন্ত্যমিল বা পয়ার ছন্দ আবার ফিরে আসছে , আপনার কি মনে হয় মুক্তক ছন্দ বা গদ্য ছন্দ অনেক বেশি স্বাধীন?
কবি : এক এক জনের কাছে সেটা এক এক রকম। একই কবি কখনো মুক্তক লিখতে পারেন, কখনো গদ্যে লিখতে পারেন, কখনো মিল দিয়ে লিখতে পারেন। যেমন শঙ্খ ঘোষ, যেমন শক্তি চট্টোপাধ্যায়, এরা কখনো পুরো কবিতা গদ্যে লিখেছেন, কখনো মুক্তক লিখেছেন অর্থাৎ ছন্দ রয়েছে কিন্তু অন্ত্যমিল নেই, আবার কখনো স্পষ্ট অন্ত্যমিল ও ছন্দ রয়েছে, এবং সেসব লেখা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক ও উত্তীর্ণ লেখা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে ,সুতরাং এটা নির্ভর করে যিনি লিখছেন তার মানসিকতায়, একই লোক বিভিন্ন রকম লিখতে পারেন, যার যেদিকে ঝোঁক যাবে তিনি সেটাই লিখবেন।
ডিকনফাইন্ড : কবিতার জনপ্রিয়তা আর কবিতার সার্থকতা কিভাবে আলাদা করে দেখেন?
কবি: আমি আসলে এগুলো নিয়ে তত ভাবিনা, আমি আমার নিজের লেখা নিয়েই চিন্তা করি যে পরের লেখাটা কিভাবে লিখবো, কারণ প্রতি কবিতায় একটা যাত্রা থাকে, কবিতাটা শুরু
12