First page Back Continue Last page Overview Image

সময়েই তা পড়ে মনে হয়, একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আমি লিখিনি। আমি চেষ্টা করি, তাকে সব কিছুই দিতে যা দেওয়া দরকার ছিল । তবু সব লেখাই একদিক থেকে আমার অসম্পূর্ণ বলে মনে হয়।

ডিকনফাইন্ড : পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি কিভাবে অভিব্যক্তিকে প্রভাবিত করেছে, সে বিষয়ে যদি আমাদের বলেন।

কবি : কোন আঘাত বা অপমান পেলে মনটা দুমড়ে মুচড়ে যায়। আবার সামাজিক কিছু ঘটনা, যেমন নন্দীগ্রাম ইস্যুতে হয়েছিল। কিছু পীড়ন মনকে উত্তেজিত করে তোলে। আবার কখনও ভালোবাসা পেলে মনটা নরম হয়ে যায়, একপ্রকার স্নিগ্ধতার সঞ্চার হয়। এই অভিব্যক্তিগুলো বিভিন্ন রূপে প্রকাশিত হতে চায় লেখার মধ্যে। কতটা পারি তা জানিনা, কিন্তু চেষ্টা করি।

ডিকনফাইন্ড : কখন মনে হলো যে এবার গদ্য লেখা শুরু করা যায়?

কবি : গদ্য আমি লিখেছি নিজের ইচ্ছায় নয়। দেশ পত্রিকায় চাকরি করেছি ষোলো বছর। চাকরি করার সময় তৎকালীন

সম্পাদক সাগরময় ঘোষ আমায় দিয়ে গদ্য লেখাতে শুরু করেন। তাঁর নির্দেশে, আমি একরকম জোর করেই গদ্য লেখা শুরু করি। আমার ‘হৃদয়ে প্রেমের শীর্ষ ' নামে একটা বই, এভাবেই সৃষ্টি হয়। উপন্যাসও আমি তাঁর নির্দেশেই লিখেছি। কিন্তু গদ্য লেখা শুরু করার কিছুদিন পর মনে হল, মনের কিছু অনুভব থাকে যেগুলো কবিতায় প্রকাশিত হতে চায়। আবার কিছু কিছু অনুভব, অভিব্যক্তি থাকে, যা গদ্য আকার দাবি করে। গদ্য লেখা যদি আমি শুরু না করতাম, তবে এই অভিজ্ঞতাটার মুখোমুখি কোনোদিন হতে পারতাম না।

ডিকনফাইন্ড : এই কথার প্রসঙ্গে বলবো, পাঠকের ক্ষেত্রেও অনুরূপ অভিজ্ঞতা আছে। অর্থাৎ, গদ্য ও কবিতা এই দুয়ের প্রভাব পাঠকের অনুভূতিতে আলাদা। একই অনুভূতির কখনো গদ্যরূপ আর কখনো বা কাব্যরূপ, এ বিষয়ে আপনার কি মতামত?

কবি: একই অনুভূতির গদ্যরূপ ও কাব্যরূপ আমার জীবনে কখনও ঘটেনি। যা গদ্যে লিখেছি তা গদ্যেই এসেছে, এবং কবিতার ক্ষেত্রেও একই কথা সত্য। একই অনুভূতিকে কখনও গদ্য বা গদ্য থেকে কবিতায় বদলে দিচ্ছি, এমনটা কখনও আমার জীবনে ঘটেনি। এটা আমার প্রবণতার মধ্যে পড়ে না।

11