First page Back Continue Last page Overview Image

ডিকনফাইন্ড : প্রথমেই জানতে চাইবো, কাব্যজগতে আপনার পদার্পণের প্রেরণা কিভাবে?

কবি: বাড়িতে শুয়ে ছিলাম আর মাথার মধ্যে কতগুলো লাইন ঘোরাফেরা করতে লাগলো। আমার মনে হলো যে এই লাইনগুলোকে কোনো কাগজে লিখে না ফেললে চলছে না। এমন লাইন মাঝে মাঝেই রাস্তাঘাটে চলার সময় মাথায় আসতো, আজও আসে । সেদিন যখন দুপুরবেলা মাথার মধ্যে লাইনগুলো ঘোরাফেরা করছিলো, তখন আমি একটা অঙ্ক খাতার পিছন দিকে কয়েকটা লাইন লিখে ফেলি। আমাদের বাড়িতে একটা সিলিং পাখা ছিল পুরোনো, অনেকদিনের পুরোনো, হয়তো আমার বয়সি; সেটা নিয়েই আমি আমার জীবনের প্রথম কবিতা লিখেছি। তখন আমার বয়স তেরো।

ডিকনফাইন্ড : আপনি কি খুব ছোট বয়স থেকেই কবিতা পড়তেন?

কবি : আমার বাবা কবিতা পড়ে শোনাতেন, গান গাইতেন। ফলে ওই জগতের প্রতি একটা আগ্রহ মনের মধ্যে ছিল। তবে, ঘটনাচক্রে ওই লাইনগুলো মাথার মধ্যে এসেছিলো, প্রথম।

ডিকনফাইন্ড : বলতে চাইছিলাম, আমাদের ভিতরকার অনেক ভালো-মন্দ দিক থাকে, যা আমাদের মনের ভিতরে থাকে বলে কেউ জানতে পারেনা। কিন্তু যখনি তা লিখে ফেলি, অর্থাৎ জানি কেউ তো পড়বে, কাজেই সেক্ষেত্রে কি একটা সচেতনতা থাকে যে আমি কতোখানি বলব সৎভাবে আর কতটুকু আড়ালে রাখব।

কবি : লেখার ক্ষেত্রে আমার তেমন কোনো লজ্জা নেই। আমি অলজ্জভাবেই নিজের জীবন এবং জীবন সম্পর্কিত অনুভূতি, ঘটনা প্রকাশ করে থাকি, গদ্য বা কবিতায়।

ডিকনফাইন্ড : আপনার যেকোনো সৃষ্টি শুরুর আগে, এবং পরে, আপনার অনুভূতিতে কিভাবে থাকে? এর কি কোনো পরিবর্তন হয়?

কবি : লেখার পরে যখন সেটি ছাপা হয়ে বেরিয়ে যায়, তখন অনেক সময়ই মনে হয় আরও কিছু কিছু উন্নতি করা সম্ভব ছিল। আজই আমার একটা লেখা বেরিয়েছে দেশ পত্রিকায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। লেখাটা জমা দেওয়ার পর যখন ছাপাতে চলে গেল, আমার মনে হলো দুটো পয়েন্ট … দুটো পয়েন্ট কেন যে লিখলাম না। জীবনে যা লেখাই লিখি সব

10