First page Back Continue Last page Overview Image

সৌভাগ্যবশত ওনার হাতে সেই আমলে সুজন মুহম্মদের লেখা কিছু পুঁথি আসে। সেখান থেকেই এতো ডিটেলস এ উনি এসব কাহিনী পড়াশুনা করে জেনেছেন। ওনার ইচ্ছে আছে এইসব অজানা তথ্য নিয়ে অষ্টাদশ শতাব্দীর বাংলার ইতিহাসটাকে আবার রিক্রিয়েট করা। এই বলে সেজদাদু আবার একটা দীর্ঘ নিঃস্বাস ফেলে বললো "আজ এখানেই থাক।" এই বলে সিগারেটটা ধরাতে যাবে এমন সময় সঞ্জু বললো "আচ্ছা দাদু তুমি গোটা গল্পটাই টিটোকে ঠাট্টা করে এখুনি বানিয়ে বললে বললে তাইনা? প্রথমে বললে "কি টিটোভায়া দাদার শালিকাদের ইমপ্রেস করার জন্য ইত্যাদি এবং তারপরেই একটা প্যারালাল স্টোরি বলে কি এটা বোঝাতে চাইলে যে মোহময়ী নারী মানেই মাকড়শা?" আমরা সবাই হতভম্ব হয়ে গেলাম। দাদু কিছুক্ষণ চুপ করে সিগারেট ধরিয়ে ধমক দিয়ে বলে উঠলেন, "বজ্জাত কোথাকার আমি তাই বলেছি? শুধু  পাকাপাকা কথা"। তারপর বললেন "মোহময়ী নারী মাকড়শা না হলেও, মোহ যে মাকড়শার জাল সেটা বোঝার বয়স তোদের নিশ্চই হয়েছে "। এরপর দাদু হঠাৎ থেমে গিয়ে একটু মুচকি হেসে  বললেন "প্রথম দেখার ভালোবাসায়, ভালোবাসার পার্সেন্টেজ খুবই কম রে, অবশ্য এটা একান্তই আমার মতামত "। কথাটা আমরা ঠিক বুঝতে না পেরে ফ্যাল ফ্যাল করে কিছুক্ষন তাকিয়ে চলে এলাম। 

সত্যিই সোনার মাকড়শা ভেবে রাষ্ঠগিদের চুরি করতে ইন্ধন যোগায়। রাষ্ঠগিরা জীবন্ত এই মাকড়সার কথা ঘুনাক্ষরেও টের পাইনি। এরপর শালিনী, আফজল মিয়া আর ইলিয়াস খানের সাথে পরামর্শ করে রাতে পাহারা দিতে শুরু করে। আর সেই রাতে শালিনী রামচরণের আশ্চর্য সব ক্ষমতা দেখে বুঝতে পারে সে অস্ত্রবিদ্যায় পারদর্শী হলেও এবং অস্ত্রচালনায় রামচরণ তার নখের যোগ্য না হলেও,  দুর্বার গতির এই রামচরণকে কাবু করা তার পক্ষে সম্ভব না। তাই সে আর একটা অস্ত্র চালায়, সেটা হলো রূপের অস্ত্র। প্রথমে তার ধনুকের দড়ি ছিড়ে রামচরণকে বাধ্য করে নেফিলা ক্লাভিপেসএর জালে আস্টেপিস্টে জড়িয়ে পড়তে। রামচরণ সবশেষে মাকড়শা শব্দটা বলে ছিল সেটা আসলে শালিনীকে দেখে না। আসল নেফিলা ক্লাভিপেসকে দেখে। সুজন মুহম্মদের অন্যান্য সব আশ্চর্য ক্ষমতা থাকলেও, সার্জারিতে  তার পারদর্শিতার কারণ যে এই নেফিলা ক্লাভিপেস নামক এই মাকড়সার অবদান সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। রামচরণ ধরা পড়ার পরবর্তী কাহিনী  তোদের পরে শোনাবো। তবে পরে বাংলা থেকে বর্গী বিতাড়ন এর পেছনে যে রামচরণ এবং শালিনী এই দুইজনেরই উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল  সেটুকু এখন বলতে পারি। ও আর একটা কথা মুক্তাদীর আলী হলো সুজন মুহম্মদের বংশধর।

60