First page Back Continue Last page Overview Image

বলে যাচ্ছি, দেখি আমার পাঁচ ছয় ফুট সামনে এক সহকর্মী বৈজ্ঞানিক হাঁটছে আর তার সামনে আর ও একজন বৈজ্ঞানিক হাঁটছে। অমনি ভাইপো বলে উঠলো সবার পিছনে আমার কাকা এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী। আমি বললাম বাঃ বেশ বুঝতে পারছিস, আর নিজের মনেই ভাবছিলাম ছেলে মনযোগ দিয়ে শুনছে, একটু খুশি হলাম যে ও মজা পেতে শুরু করেছে। এই নীরবতার মাঝে ভাইপো উৎসুক হয়ে আমাকে নাড়িয়ে বলে আর কিছু বলছো না যে! আবার বলতে শুরু করি যে হঠাৎ সামনে তাকাতেই দেখি প্রথমজন মানে যে একেবারে সামনে আছে সে ডান হাত একটু উপরে তুলে তর্জনীটি খাড়া করে হাওয়ায় কিছু লিখে যাচ্ছে, মানে আমরা বোর্ডে যেভাবে লিখি। শুধু তফাৎটা হলো বোর্ডে লিখলে পাশে হাঁটে, সে লিখতে লিখতে সামনে হাঁটছে। দেখলাম ভাইপোর চোখটি জ্বলজ্বল করছে, নিমেষে বলে উঠলো তারপর। আমি আবার শুরু করি তারপর আর কি, তার পিছনেরজন যেমন ডাস্টার দিয়ে বোর্ড মুছে ঠিক সেভাবে বামহাতে রুমালটি ধরে একটু করে মুছে, সে আবার কিছু অঙ্ক কষছে বা লিখছে। তখন ভাইপো জিজ্ঞেস করলো তা তুমি কি করলে, বেশ মোক্ষম প্রশ্ন! আমি আর কি করবো, তোর ভাষায় ক্ষুদে বিজ্ঞানী তো, তাই খুবই সাবধানে এদিক ওদিক করে হাঁটছিলাম, যাতে আগের জনের কষা অঙ্ক

পাগলাগারদ

মুন্সী গোলাম মুস্তাফা

আজ একটা ছোট অভিজ্ঞতার কথা বলি। কর্মসূত্রে আমি "সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স" প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত। যেহেতু সমাজের বহু স্তরের লোকজনের সাথে মেলামেশা আছে, ওই গালভরা নামটা শুনে কেউ একটু হলেও সমীহ করে আর কেউ বা পিছনে হ্যাটা করে। সে ঠিক আছে, ভাবি খুবই অবুঝ। আমার এক আত্মীয়, সম্পর্কে ভাইপো, বয়স বেশি না, সবে হাইস্কুল শুরু করেছে তখন। এই প্রগতির যুগে সে অনেককিছুর সাথে অভ্যস্ত, জেনে গেছে বিজ্ঞান, গবেষণা, বৈজ্ঞানিক , নোবেল আরও কত কি! সে একদিন আমায় জিজ্ঞেস করলো তোমাদের ইনস্টিটিউটে তোমরা কি করো। আমি যথারীতি বললাম। দেখলাম পায়ে পা ঘসছে, মানে সে আমার উত্তরে তৃপ্ত নয়, বরং কিছুটা হতাশ। অতৃপ্তির কারনটা জানতে চাইলাম। সে বললো এসব তো ইন্টারনেটের দৌলতে জানা যায়, কিন্তু ....... ঠিক অনুভব করতে পারিনি, তুমি ও একই কথা বলছো। বুঝলাম ওর সমস্যাটা। তখন বললাম তবে শোন .... একদিন বিকেলে ক্যান্টিনে চা পান করবো

7