জানিনা, এ পৃথিবীর ঘাতকরা গান শোনে কি না,
জানিনা, লালন শুনে ভাসে কেন বুকের আঙিনা,
জানিনা বিচার হ'লে কেন গান হয়না শুনানি,
উত্তর আসবে না, তুমি আসবেই আমি জানি।
(সুমন)
গলার জোর যখন পেরে ওঠে না ঠিক আর ভুল কে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে, কলমের জোর চিরকাল তার জায়গা করে নেয়, ইতিহাস সাক্ষী। স্থিরতার, শান্তির স্বপ্ন বহন করে কলম। সম্পাদকীয় শুরু করার বিষয় বাছাই করতে হয় না যখন, বুঝতে হয়, সমাজ, দেশ, খুব সুন্দর সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে না। তবু আশা রাখি, নতুন বছর (পড়ুন নিউ ইয়ার) নিয়ে আসবে সুস্থ বুদ্ধি, আনবে অনেক নতুন লেখা, মনুষ্যত্ব সু-রূপে পুনঃসংজ্ঞায়িত হবে।
আমাদের এই পত্রিকা স্বাধীন চিন্তাধারার স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশের মাধ্যম, অগোছালো হলেও যা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। প্রকাশে বিলম্বের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। বিজ্ঞান আর
সাহিত্যের দৌড়ে, আমাদের পেশা জনিত কারণে, সাহিত্য এবং কলার প্রকাশ পিছিয়ে পড়েছিল । নতুন বছরে এও আশা থাকবে যে নিজেদের এবং আশেপাশের প্রয়োজনে আমরা আরো নিয়মিত সময় দেব সাহিত্য এবং সবরকমের সৃষ্টি কে, তবে অবশ্যই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আপোষ না করে।
এই পত্রিকা শুধু সাহা ইনস্টিটিউট এর নয়, বাইরের অনেক বন্ধুও লেখা এবং ছবি দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আমরা তাদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে ইনস্টিটিউট এর ভিতর থেকেও আরো বেশি লেখা পাবার আশা করব, যাতে বাছাই এর কাজ আরো কঠিন হয়। এই সংখ্যায় কথোপকথন অংশে আমাদের প্রশ্রয়দাতা প্রখ্যাত কবি জয় গোস্বামী। তাঁর সাথে আলাপচারিতায় উঠে এসেছে কবিতার খুটিনাটি, পারিপার্শ্বিক এর প্রকাশ। তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ এবং আবারও ক্ষমাপ্রার্থী, প্রকাশে বিলম্বের কারণে। শেষে যাদের কথা না বললেই নয়, তারা আমাদের আগের সম্পাদক মন্ডলী, যারা আমাদের উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন এবং যে কোন প্রয়োজনে সাহায্য করেছেন। সর্বোপরি আমাদের সেই সাহস দিয়েছেন যাতে আমরা কঠিন কিছু বলতে পিছপা না হই।
সম্পাদকীয়